দূর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে পরকীয়া সম্পর্ক ও গ্রামীণ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত মকবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. আলামিন হোসেনসহ চারজনকে কক্সবাজারের সুগন্ধা লাইট হাউজপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. আলামিন হোসেন (৩৫), পিতা মৃত আজাহার আলী,শহিদুল ইসলাম (২৫), পিতা আরফান আলী,মো. শাহাবুর (৩০), পিতা মৃত আজির উদ্দিন,মোহাম্মদ রিপন (২৫), পিতা গবির উদ্দিন,মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বাটুল (২৫), পিতা মো. মেহের আলী
তাদের সকলের স্থায়ী ঠিকানা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার তরিপতপুর গ্রামে। অভিযানে চারটি মোবাইল ফোন ও চারটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে মৌ(৩০) নামের এক নারী মো. ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ ঘটনা নিয়ে গ্রামে সালিশ বসানো হলে আসামিরা সেখানে উপস্থিত হয়ে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরদিন রাতে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা আম গ্রাম আমচত্তর মোড়ে দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা চালান। মকবুল হোসেন তাদের বাধা দিতে গেলে তার মাথায় আঘাত করা হয়, ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব-৫ এর একটি চৌকস দল আসামিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ১১ মে রাতে কক্সবাজারের সুগন্ধা লাইট হাউজপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তাদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
দৈনিক সোনালী রাজশাহী / সোহানুর রহমান